ই-কৃষক
কৃষি সম্প্রসারণ এবং বাজার ব্যবস্থাপনায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য BIID এর একটি উদ্যোগ হলো ই-কৃষক। ই-কৃষক এমন একটি তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর সেবা যার মাধ্যমে দেশব্যাপী কৃষি বিষয়ক তথ্য ও পরামর্শ প্রদান করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি যেমন মোবাইল, ইন্টারনেট, কম্পিউটার ইত্যাদি ব্যবহারের মাধ্যমে স্থানীয় তথ্য কেন্দ্র দ্বারা এই সেবা কৃষকের কাছে পৌছে দেয়া হয়। কৃষকরা সরাসরিও এই সেবা গ্রহন করতে পারে। কৃষি উপকরন বিক্রেতার দোকান হতেও এই সেবা পাওয়া যায়। যে সকল কৃষক এই কৃষি তথ্য ও পরামর্শ কৃষি কাজে প্রয়োগ করে, আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সুবিধা গ্রহন করে কৃষি কাজে উপকৃত হচ্ছেন তাদেরকেই বলা হয় ই-কৃষক।
কাদের জন্য এই সেবা?
ই-কৃষক তথ্য ও পরামর্শ সেবা মূলত দেয়া হয় কৃষকদেরকে। এছাড়া কৃষি সম্প্রসারণ (সরকারী, এনজিও, বেসরকারী) এবং কৃষি বিষয়ক ব্যাবসার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলে ই-কৃষক সেবা গ্রহণ করতে পারেন। কৃষি বিষয়ক সকল সমস্যা সমাধানের আধুনিক প্রযুক্তি ভিত্তিক তথ্য ও পরামর্শ সেবা দেয়া হয় ই-কৃষকের মাধ্যমে।সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য এবং পরামর্শ প্রদানের পাশাপাশি কৃষকরা যাতে সঠিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় করতে পারে, এ লক্ষ্যে বিভিন্ন সরকারী এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সহযোগিতার ভিত্তিতে ই-কৃষক সেবা পরিচালিত হচ্ছে।
কিভাবে পাওয়া যাবে এই সেবা?
কৃষকগন তাদের যে কোন কৃষি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে স্থানীয় বাতিঘর তথ্য কেন্দ্রে গেলে অতি সহজে তারা ই-কৃষক সেবা আওতাধীন কৃষি বিষয়ক তথ্য ও পরামর্শ গ্রহন করতে পারেন। স্থানীয় পর্যায়ে কৃষকদেরকে এই সেবা প্রদানে কাজ করে থাকে স্থানীয় উদ্যোক্তা। এছাড়াও ১৬২৫০ এর ঝগঝ এর মাধ্যমেও এই সেবা পাওয়া যায়।
মার্কেট লিংকেজ প্রোগ্রাম (এম.এল.পি) হল একটি বিশেষ বাজার ব্যবস্থা যার মাধ্যমে অনলাইনে ক্রেতা ও বিক্রেতাগন উৎপাদিত কৃষি পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন। এম.এল.পি’র মূল লক্ষ্য তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি বাজার ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন ও মান উন্নয়ন যাতে সংশ্লিষ্ট সকলে লাভবান হতে পারেন। এর মাধ্যমে ক্রেতা-বিক্রেতাগন স্থানীয় বাজার ছাড়াও দেশব্যাপি যে কোন বাজারের সাথে সংযুক্তি হতে পারবে ও পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। বিক্রেতাগন ক্রেতার চাহিদা ও পণ্যমূল্য সম্পর্কে জানতে পারবে। ক্রেতাগন বিক্রেতার সরবরাহ ও মূল্য সম্পর্কে জানতে পারবে। ক্রেতা-বিক্রেতাগনের মধ্যে সরাসরি দরকষাকষির ব্যবস্থা থাকায় ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হবে। গ্রেডিং সম্পর্কে নির্দেশনা থাকার ফলে পণ্যের গুণগতমান নিশ্চিত হবে এবং অপচয় কমবে। সঠিক মান নিশ্চিতকরণের ফলে অধিক ক্রেতা আকৃষ্ট হবে। কৃষকদের প্রয়োজনীয় তথ্য ও পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি হবে।
মার্কেট লিংকেজ এর ধাপসমূহ: কৃষক/বিক্রেতা পোর্টালে রেজিষ্ট্রেশন করবে, এবং স্থানীয় এজেন্ট এর সাথে ট্যাগ হবে অতঃপর উৎপাদিত পণ্যের তথ্য দিবে। ক্রেতা পোর্টালে রেজিষ্ট্রেশন করবে ও ক্রেতা তার চাহিদার তালিকা পোস্ট করবে, সরবরাহ ও মূল্য যাচাই করে, দরকষাকষি করবে এবং অর্ডার করবে। এম.এল.পি হতে ইনভয়েস/চালান তৈরী হবে । ক্রেতা পণ্য গ্রহণ নিশ্চিত করা মাত্র বিক্রেতার একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার হবে । বিক্রেতা ব্যাংক অথবা কার্ডের সাহায্যে এটিএম থেকে তার টাকা উত্তোলন করতে পারবে যে কোন সময়। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ আইসিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (বিআইআইডি) সুপার এজেন্ট এর সামগ্রিক তত্ত্বাবধায়ন নিশ্চিত করবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস